বার্তা সংস্থা ইকনা: মমতা বলেন, ‘সব সমাজের জন্য কাজ করতে হবে। সব পরিবারের জন্য করতে হবে। আমরা হিন্দু-মুসলমানে, শিখ-খ্রিস্টানে, ব্রাহ্মণ-কায়স্থে, তপসিলি- আদিবাসীর মধ্যে ভাগাভাগি করি না। আমরা মনে করি সকলেই আমাদের পরিবারের আপনজন।’ মমতা রাজস্থানে শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা আফরাজুল খানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করেন।
মমতা বলেন, ‘রাজস্থানে পুড়িয়ে হত্যা করা হল, আমি জানতে চাই না তিনি হিন্দু কী মুসলিম। আমি বলতে চাই এটা ছিল মানবিক প্রাণ। মানুষকে হত্যা করার পর কী ঠিক করা হবে কে তপসিলি, কে আদিবাসী, কে হিন্দু, কে মুসলমান? কেন এটা হবে? হবে কেন?’
মমতা আজ বিজেপিকে টার্গেট করে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘ওরা ‘বাজে কথা’ বলছে বলে আমরা যেন বাজে কথা না বলি। বিজেপি যে কালচারে কথা বলে তৃণমূলের সেটা কালচার নয়। ওই কালচারকে আমরা পছন্দ করি না। আমরা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে ওদের বিরুদ্ধে লড়বো। আমরা মানুষকে বাঁচাবো।’
মমতা বলেন, ‘যখন ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে মেয়েরা টাকা পায় তখন কী বিজেপি নেতারা দেখেন উনি হিন্দু, মুসলমান, শিখ অথবা খ্রিস্টান কী না?’
তিনি বলেন, ‘আমার চোখে সকলেই সমান। একটা মানুষের গায়ের রং সাদা হতে পারে, কারো কালো হতে পারে। কিন্তু আমি সাদাকে ভাত খাওয়াবো কালোকে ভাত খাওয়াবো না তা কী কখনো হয়!
মমতা এদিন সাফ জানিয়ে দেন, ‘বাংলার মাটিতে কোনো ভাগাভাগির খেলা হবে না। যদি কেউ তা করতে চান তাহলে একেবারে রাজনৈতিক ভাবে তাদের তাড়িয়ে দিন। যেন কোনোদিন আর আপনাদের কাছে না আসতে পারে।’
প্রসঙ্গত, রাজস্থানে মালদহের নিহত শ্রমিক আফরাজুলের পরিবারের পাশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ায় গতকাল রোববার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ একে সংখ্যালঘু তোষণ ও ন্যাকামির রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, যেহেতু সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করার সুযোগ এসে গেছে সেজন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। বেহায়ার মতো সব ছুটছেন।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত নাম না করে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। পার্সটুডে