‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম’ নামের বইটি ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, জার্মান, রুশ, পর্তুগিজসহ ছয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়। পাশাপাশি মৌলিক আরবি ভাষা শিখতে ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় লেখা ‘স্পোকেন অ্যারাবিক’ নামের সংক্ষিপ্ত ই-বুক রয়েছে।
https://binzaid.gov.qa/lang-ebook/book-fafa22.html লিংকে প্রবেশ করে যে কেউ তা পড়তে পারবে।
১৩২ পৃষ্ঠার বইটিতে ১৮টি অধ্যায়ে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। প্রথম ১০টি অধ্যায়ে ইসলামের পরিচয়, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য, আল্লাহর একত্ববাদ, ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ, নবী-রাসুলদের উদ্দেশ্য, আসমানি গ্রন্থ, পবিত্র কোরআন, ইসলামে মর্যাদাপূর্ণ তিনটি স্থান, কোরআনের অলৌকিকত্ব তুলে ধরা হয়। পরবর্তী আটটি অধ্যায়ে ইসলামী শিল্পকলা ও ক্যালিগ্রাফি, পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব, নারীর মর্যাদা, শিশুদের অধিকার, ইসলামে মানবাধিকার ও সংখ্যালঘুদের অধিকার, ইসলাম ও সভ্যতা, মহানবী (সা.)-এর অন্তিম উপদেশ এবং জেরুজালেমে প্রবেশকালে ওমর (রা.)-এর চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এদিকে ইসলামী শিষ্টাচার তুলে ধরতে আবদুল্লাহ বিন জাইদ আল মাহমুদ সেন্টারের উদ্যোগে দোহার বিভিন্ন স্থানে মহানবী (সা.)-এর হাদিসসংবলিত দেয়ালচিত্র দেখা যায়। বিশ্বকাপ উপলক্ষে আগত দর্শক-ভক্তদের কাছে ইসলামের সঠিক চিত্র তুলে ধরার উদ্যোগটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। সুন্দর আচার-ব্যবহার ও পার্থিব জীবনে ভালো কাজের গুরুত্বসংক্রান্ত হাদিসগুলো আরবি ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি অনুবাদও যুক্ত করা হয়।
তা ছাড়া দোহার কাতারা এলাকায় বিশ্বকাপ চলাকালে ইসলামের শিক্ষা ও পরিচিতি তুলে ধরতে একটি প্যাভিলিয়ন চালু করা হয়েছে। এতে ইসলাম ও আরব সংস্কৃতির পরিচিতি নিয়ে মুদ্রিত বই বিতরণ করা হবে এবং দর্শকদের কাছে তাদের ভাষায় ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরা হবে। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বা ভিআর প্রযুক্তির সাহায্যে দর্শনার্থীদের দেখানো হবে পবিত্র কাবাঘর, হাজরে আসওয়াদসহ মক্কা ও মদিনার ঐতিহাসিক ইসলামী স্থাপনা।
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির