এই প্রথম লাইবেরিয়ায় সম্মিলিত স্কুল ছাত্রীদের হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
খ্রিস্টানদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেশটির স্কুল ছুটি প্রদান করে। এজন্য সেদেশের ইসলামী নেতারা বছরের পর বছর ঈদুল ফিতরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে। আর এই চাপের পর জর্জ ওয়াহহা সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
২০১৯ সালে ওয়াহহা সরকার লাইবেরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মুসলিম কর্মচারীদের ঈদুল ফিতর উদযাপনের অনুমতি দেয়।
দেশটির সরকারের আরেকটি পদক্ষেপ ছিল ওসমান টি. জালু’কে দেশের প্রথম সরকারী মুসলিম ধর্মীয় উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা, দুজন খ্রিস্টান উপদেষ্টার সাথে কাজ করা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়া।
২০০৮ সালে লাইবেরিয়ার জাতীয় আদমশুমারি অনুসারে, দেশটির জনসংখ্যার ৮৫.৬ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ১২.২ শতাংশ মুসলিম৷ ১.৪ শতাংশ দাবি করে যে তার কোন ধর্মের অনুসরণ করে না, ০.৬ শতাংশ আদিবাসী ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসরণ করে এবং ১ শতাংশেরও কম হিন্দু, শিখ এবং বৌদ্ধদের মতো অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্য।
উল্লেখ্য যে, লাইবেরিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি।
https://iqna.ir/fa/news/4049238